File:Folk-lore of Bagal Kali.jpg

Original file(6,000 × 4,000 pixels, file size: 17.27 MB, MIME type: image/jpeg)

Captions

Captions

Maa Bagal Kali

Summary edit

Description
বাংলা: গল্পটা শুরু হয় আজ থেকে আনুমানিক দুশো বছর আগে, পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার, চন্দ্রকোনা থানার অন্তর্গত একটি ছোট্ট গ্রাম খারুশা, মূলত কৃষি প্রধান এই অঞ্চল,, মানুষজন কৃষিকাজের সাথে সাথে পশুপালনও করে থাকে। আঞ্চলিক ভাষায়,- যারা পশু পালন করে তারা রাখাল অথবা বাগাল নামে পরিচিত । গ্রীষ্মের তপ্ত দুপুরে বাগালগন গরু চরানোর অবসরে,- স্নিগ্ধ, শীতল গাছের তলায় বিশ্রাম করত। কথিত আছে, এরকমই একদিন বৈশাখের মধ্যাহ্নে, কাকতালীয়ভাবে বুদ্ধ পূর্ণিমার দিন, সূর্য যখন মধ্য গগনে- খারুষা ও তার পার্শ্ববর্তী আটঘোরা গ্রাম থেকে আগত মোট দশ জন বাগাল শিশুগন শীতল বৃক্ষ তলে বিশ্রামরত অবস্থায় হঠাৎ নিজেদের মধ্যে স্থির করে তারা কালি পূজা বরবে,, নেহাতই ছেলে খেলার ছলে তারা তৎক্ষনাৎ মাটির মূর্তি বানিয়ে, আশেপাশের জমিজমা থেকে তরমুজ, শশা, ফুল, বেলপাতা ও পার্শস্থ প্রবহমান খালের জল ইত্যাদি আয়োজনের মাধ্যমে শুরু করে পূজা, (প্রসঙ্গত বলে রাখি দশ জন রাখালবালকের মধ্যে ৯ জনই ছিল খারুষার অব্রাহ্মণ সন্তান, অবশিষ্ট একজন আটঘোরা থেকে আগত সে ছিল ব্রাহ্মণ সন্তান।) কাজেই ঠিক হয় ব্রাহ্মণ রাখালটি পূজারী হবে, আর অন্য 9 জন পূজায় সাহায্য করবে। তো সেই মতোই শুরু হয় পূজার্চনা, পূজা চলাকালীন হঠাৎ রাখাল বালকদের মনে হয়, – কালিপূজায় ছাগবলিদান হয় দেখেছি আমাদের পূজোতেও বলিদান করবো, কিন্তু ছাগল কোথায় পাই? ঘাতক কোথায় পাই? খড়্গই বা পাই কোথায়? ইত্যাদি নানা প্রশ্নের নিজেরাই সমাধান করলো, বালকগনের মধ্যে স্থির হল একজনকে ছাগল সাজানো হবে, আরেক জন কর্মকার অর্থাৎ ঘাতক তাল পাতার ধারালো দিক দিয়ে বলি করবে। যেমন ভাবা তেমন কাজ, মাটির তৈরি মুর্তির সামনে সেই শিশুকে বলি দেওয়া হয়। ধর থেকে দেহ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, মাটি রক্তে লাল হয়েযায়। এ দৃশ্য দেখে কিংকর্তব্যবিমূঢ় বাগালগন নিজেরাও ভীত ও সন্ত্রস্ত হয়ে দ্রুত সেই স্থান পরিত্যাগ করে নিজ নিজ বাড়ির দিকে ছুটে আসে, এবং অভিভাবকগনেরাও একথা জানতে পেরে তৎক্ষনাৎ ছুটে আসে সেই স্থানে, সকলে মিলে এসে দেখেন

বলি হয়ে যাওয়া ছেলেটি অক্ষত অবস্থায় বসে খেলা করছে। যা দেখে সকলে বিস্মিত। সকলে ধন্য ধন্য করে মায়ের জয় দিয়ে উঠলো।

সেই থেকেই আজ পর্যন্ত প্রতিবছর ওই একই দিনে অর্থাৎ বুদ্ধপূর্ণিমার দিনে একইভাবে মায়ের পূজা চলে আসছে,এবং মায়ের কৃপা সমানভাবে আজও বর্ষিত হয়ে আসছে। এখনও ছাগবলির রীতি প্রচলিত আছে। সেই 9জন খারুষার বাগাল ও 1জন আটঘোরার ব্রাহ্মন বাগালের বংশ পরম্পরায় ভাবে আজও মা পূজীতা হন।

প্রথম প্রথম তালপাতার কুঁড়েঘর বানিয়ে পূজা হতো,

ধিরে ধিরে ভক্তগনের সহযোগিতায় একটি ইঁটের ঘর বানানো হয়েছলো,

তার বেশ কয়েক বছর পর আবার একটি তুলনামূলক বৃহৎ মন্দির নির্মিত হয়,

তারপর ২০১৪-১৫ সাল নাগাদ আবারও অনেকের সহযোগিতা পেয়ে সেই মন্দির ভগ্ন করে এখনের এইরূপ নতুন মন্দির নির্মিত হয়।

যদিও মতান্তরে মাঝে আরও বেশ কয়েকবার মন্দির নির্মিত হয়েছে। যেগুলির উল্লেখযোগ্য কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
Date
Source Own work
Author Soumyababughosal

Licensing edit

I, the copyright holder of this work, hereby publish it under the following license:
w:en:Creative Commons
attribution share alike
This file is licensed under the Creative Commons Attribution-Share Alike 4.0 International license.
You are free:
  • to share – to copy, distribute and transmit the work
  • to remix – to adapt the work
Under the following conditions:
  • attribution – You must give appropriate credit, provide a link to the license, and indicate if changes were made. You may do so in any reasonable manner, but not in any way that suggests the licensor endorses you or your use.
  • share alike – If you remix, transform, or build upon the material, you must distribute your contributions under the same or compatible license as the original.

File history

Click on a date/time to view the file as it appeared at that time.

Date/TimeThumbnailDimensionsUserComment
current21:51, 27 June 2023Thumbnail for version as of 21:51, 27 June 20236,000 × 4,000 (17.27 MB)Soumyababughosal (talk | contribs)Uploaded own work with UploadWizard

There are no pages that use this file.

Metadata