Commons:Wiki Loves Bangla 2024/Winners

নীড় পুরস্কার প্রাজিপ্র বিচারক চিত্র বিজয়ী আয়োজক


বাংলার প্রেমে উইকি ২০২৪

বিজয়ীগণ!

বাংলার প্রেমে উইকি ২০২৪ প্রতিযোগিতায় সারাবিশ্ব থেকে মোট ২১২ জন অংশগ্রহণকারী বাংলার খাবার বিষয়ক ২,১০০টিরও অধিক ছবি জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে শতাধিক ছবি উইকিপিডিয়া এবং উইকিউপাত্তসহ বিভিন্ন উইকিমিডিয়া প্রকল্পের পাতায় বিভিন্ন বিষয় চিত্রিত করতে ব্যবহৃত হচ্ছে।

আমাদের বিচারকদের কয়েক সপ্তাহব্যাপী তিনটি রাউন্ডে বিচারকার্যের পরে, বাংলার প্রেমে উইকি ২০২৪ সালের প্রতিযোগিতার বিজয়ী ঘোষণা করতে পেরে আমরা আনন্দিত। এই ছবিগুলি তাদের গুণমান, শৈল্পিক যোগ্যতা এবং বাংলা খাবারের চিত্র হিসেবে তাদের বিশ্বকোষীয় মানের জন্য স্বীকৃত।

আমরা অনেক মনমুগ্ধকর ছবির পেয়েছি, এবং বরাবরের মতো মাত্র দশজন বিজয়ী নির্বাচন করা কিছুটা দূরহ ছিল। প্রতিযোগিতার নিম্নলিখিত বিজয়ীদের এবং তাদের অসাধারণ আলোকচিত্রের জন্য অভিনন্দন! বিজয়ীদের দশজনকেই পুরস্কার ও সনদ প্রদান করা হবে।

পরিশেষে, সকল অংশগ্রহণকারীদের ধন্যবাদ, সেইসাথে আমাদের বিচারক, সম্পাদক এবং আয়োজকদের, যারা ইভেন্টটি সংঘটিত করতে সহায়তা করেছেন।


ইলিশ ভাত

১ম স্থান
Photograph: সোহেল ইমরান
সিসি-বাই-এসএ-৪.০

ভাত ও ইলিশ ভাজির সাথে ডাল চাচ্চোরি এবং বেগুন ভাজি বাঙালির খাদ্যাভ্যাসের এক অনন্য সমন্বয়। ‘মাছে-ভাতে বাঙালি’ প্রবাদটি বাঙালি খাবারের মূল অংশকে ধারণ করে, যেখানে মাছ ও ভাতকে প্রধান খাদ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং এটি বাংলার সাংস্কৃতিক ও রন্ধনসম্পর্কীয় ঐতিহ্যে গভীরভাবে জড়িত।



গরুর ঝাল ভুনা

২য় স্থান
Photograph: মুন্নি আক্তার মিম
সিসি-বাই-এসএ-৪.০

গরুর মাংসের ভুনা। সুস্বাদু, মশলাদার এবং ঘন ঝোলের কারণে এটি অনন্য। ভারতীয় রন্ধনশৈলীতে এটি জনপ্রিয় খাবার, বিশেষ করে উত্তর ভারতীয় অঞ্চলে। সুগন্ধি মশলা, পেঁয়াজ, টমেটো এবং কখনও কখনও দই দিয়ে রান্না করা হয় গরুর মাংসের এই পদটি। 'ভুনা' বলতে রান্নার পদ্ধতিকে বোঝায় যেখানে মাংসের ঝোলে মাংস রান্না করা হয় যতক্ষণ না এর স্বাদের তীব্রতা বৃদ্ধি পায়।



খেজুরের গুঁড়ের পায়েস

৩য় স্থান
Photograph: দোলন প্রভা
সিসি-বাই-এসএ-৪.০

খেজুরের গুড় দিয়ে তৈরি পায়েস একটি ঐতিহ্যবাহী বাঙালি মিষ্টান্ন যা তার সমৃদ্ধ, ক্রিমি টেক্সচার এবং মিষ্টি স্বাদের জন্য পরিচিত। এটি সাধারণত দুধে চাল সিদ্ধ করে এবং খেজুরের গুড় যা 'নলেন গুড়' ('নতুন গুড়') নামেও পরিচিত, দিয়ে মিষ্টি করে তৈরি করা হয়, যা একটি অনন্য ক্যারামেলের মতো স্বাদ দেয়। ঐতিহ্যগতভাবে রাতে রান্না করা হয় এবং সকালে পরিবেশন করা হয়।



ভাপানো মোমো

৪র্থ স্থান
Photograph: তাপস কুমার হালদার
সিসি-বাই-এসএ-৪.০

মোমো হল তিব্বতি এবং নেপালি রন্ধনশৈলীতে এক ধরনের বাষ্পে ভরা ডাম্পলিং যা প্রতিবেশী ভুটান, ভারত এবং বাংলাদেশেও জনপ্রিয়। এটি সাধারণত আচার নামে পরিচিত সস দিয়ে পরিবেশন করা হয়। এটি ঝোল মোমো নামে পরিচিত স্যুপ হিসাবেও রান্না করা যেতে পারে।



ভোগ প্রসাদ

৫ম স্থান
Photograph: শ্রীবিদ্যা
সিসি-বাই-এসএ-৪.০

বাড়িতে তৈরি ঐতিহ্যবাহী ভোগ প্রসাদ। 'ভোগ' বলতে বোঝায় হিন্দু আচার-অনুষ্ঠানে- বিশেষ করে ধর্মীয় উৎসব ও শুভ অনুষ্ঠানে দেবতাদের উদ্দেশ্যে অর্পিত নৈবেদ্য। 'প্রসাদ' বলতে বোঝায় পবিত্র খাবার যা দেবতাকে নিবেদন করা হয় এবং তারপর আশীর্বাদ হিসাবে ভক্তদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। ভোগ প্রসাদ মূলত দেবতাকে দেওয়া পবিত্র খাবার এবং পরে যা ভক্তদের মধ্যে বিতরণ করা হয়।



অমৃতি

৬ষ্ঠ স্থান
Photograph: তাপস কুমার হালদার
সিসি-বাই-এসএ-৪.০

অমৃতি (বিকল্প নামের মধ্যে রয়েছে অমৃত্তি, অমিত্তি, আমিরতি ইত্যাদি) প্রকৃতপক্ষে একটি জনপ্রিয় ভারতীয় মিষ্টান্ন যা মুঘল রান্নাঘরে উদ্ভূত হয়েছে বলে বিশ্বাস করা হয়। এটি উরদ ডাল (কালো ছোলা) বাটা দিয়ে তৈরি করা হয়, যা বৃত্তাকার আকারে ভাজা হয় এবং তারপর চিনির সিরাপে ভিজিয়ে রাখা হয়। অমৃতির একটি স্বতন্ত্র সর্পিল আকৃতি রয়েছে এবং অতিরিক্ত স্বাদ এবং সুবাসের জন্য এটিকে প্রায়শই জাফরান বা গোলাপ জল দিয়ে সজ্জিত করা হয়।



নিহারী হালিম

৭ম স্থান
Photograph: মুন্নি আক্তার মিম
সিসি-বাই-এসএ-৪.০

হালিম প্রকৃতপক্ষে এক ধরনের স্টু যা মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে জনপ্রিয়। এটি একটি পুষ্টিকর খাবার যা মাংস (প্রায়শই খাসি, গরু বা মুরগির মাংস), মসুর ডাল, গম, বার্লি এবং মশলা সহ বিভিন্ন উপাদান দিয়ে তৈরি। যদিও অঞ্চল ভেদে এর তারতম্য হয়।



সুজির হালুয়া

৮ম স্থান
Photograph: মুন্নি আক্তার মিম
সিসি-বাই-এসএ-৪.০

সুজি হালুয়া, বা রাভা কেসারি নামেও পরিচিত, বাঙালি রন্ধনশৈলীতে পরিচিত এবং সাধারণ মিষ্টি খাবার। এটি সুজি, ঘি, চিনি এবং জল, বাদাম, কিশমিশ এবং গন্ধের জন্য এলাচের মতো সুগন্ধযুক্ত মশলা দিয়ে তৈরি করা হয়।



আটার মিষ্টি পিঠা

৯ম স্থান
Photograph: দোলন প্রভা
সিসি-বাই-এসএ-৪.০

আটার মিষ্টি পিঠা। গমের আটা, দুধ এবং চিনির মিশ্রণে তৈরি করা হয় এবং কখনও কখনও স্বাদ বাড়াতে এলাচ বা জাফরান দেয়া হয়। এরপর মিশ্রণটি একটি তাওয়ায় কম আঁচে ভাজা হয় যতক্ষণ না সোনালি বাদামী রং ধারণ করে।



পায়েশ

১০ম স্থান
Photograph: তাহসিন আই. অর্ণব
সিসি-বাই-এসএ-৪.০

খেজুরের গুড়ের পায়েস, একটি বৈচিত্রময় পায়েস যা খাবারে ক্যারামেলের মতো মিষ্টি যোগ করে। সাধারণত রাতে রান্না করে সকালে পরিবেশন করা হয় বিধায় এই পায়েশ দইয়ের মতো সুন্দরভাবে জমাট বাঁধে।



বিশেষ উল্লেখ

সাদিকুল ইসলাম সর্বোচ্চ ছবি আপলোডকারী হিসেবে সর্বমোট ১৬৩টি ছবি জমা দিয়েছেন।